
নিজের পৈতৃক সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার আদায়ের চেষ্টা করেছেন জনাব জবর মিয়া, ২০০৮ সালের আগে দীর্ঘ সময় লন্ডনে প্রবাস জীবনযাপন করেন। লন্ডনে থাকাকালীন সময়ে তিনি ভাইদের সাথে যৌথভাবে জমি ক্রয় করেন এবং পৈতৃক বাড়িতে একটি ভবন নির্মাণও করেন।
২০০৮ইং তিনি দেশে ফিরে তিনি দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। এখানেই শুরু হয় বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম ইছন মিয়ার সাথে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ।

তাঁর বড় ভাই, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম নুরুল ইসলাম ইছন মিয়া, সদ্য (২০০৮) জামায়াতে যোগ দেওয়ায় মরহুম ইছন মিয়া ছোট ভাই জবর মিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন এবং জামায়াত থেকে সরে আসার জন্য চাপ দেন, কিন্তু জনাব জবর মিয়া উনার সিদ্ধান্ত অবিচল থেকে সেই চাপ উপেক্ষা করে জামায়াতের ব্যানারে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন।
কিন্তু ফলাফল হয় আরো ভয়াবহ এক সময়ের পারিবারিক সম্পর্ক রূপ নেয় দ্বন্দ্বে, প্রতিশোধে, সম্পত্তি দখলের খেলায়। প্রথমে তাঁকে ব্যবসা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়, পরে জমিজমি থেকে বঞ্চিত করা হয়, এবং শেষে নিজের পৈতৃক বাড়ি থেকেও উচ্ছেদ করা হয়। এমনকি তাঁর স্ত্রীর কাবিনের জমিও ইছন মিয়া উনার এবং ভাইদের নামে রেকর্ড করে নেন।
![]()
জনাব জবর মিয়া আইনের শরণাপন্ন হয় এবং জরিপে ৩০ /৩১ দ্বারা শেসে তিনি তাঁর অধিকার ফিরে পান। মৌজাঃ লক্ষীপাশা, খতিয়ান নং ১১৮১, জে.এল. নং ৪৭ অনুযায়ী ৯ শতক জমিও তাঁর মালিকানায় ফেরত আসে এবং সেই জমিতে বর্তমানে যে বর্গাচাষী চাষ করে আসছিলেন, তাঁকে তিনি ৯ শতক বাদ রেখে মৌখিক নোটিশ করেন। সর্বশেষ এই তথ্য সংগ্রহ করেন সুরমা দর্পণের স্টাফ রিপোর্টার।

প্রতিবেদক :
মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, সুরমা দর্পণ।
মোহাম্মদ জাকির হোসাইন 









